এবার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করতে না পারি তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আজ রবিবার ৩১ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আনিছুর রহমান বলেন, শুধু আমাদের দৃষ্টিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করলে হবে না। আমাদের দিকে সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে আছে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য না করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ সকল বিষয় বিশেষ করে আর্থিক, সামাজিক, ব্যবসা-বানিজ্যসহ সবকিছু থমকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। বাংলাদেশ হয়তোবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আনিছুর রহমান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৬ দিন পর। নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে ২৮ নভেম্বর থেকে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন, আচরণবিধি প্রতিপালনে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
এবারই প্রথম প্রতিটা আসনভিত্তিক সার্বক্ষণিক জুডিশিয়াল অফিসার দিয়ে ইলেকট্ররাল ইনকোয়ারি করা হয়েছে। উভয়ই মাঠে খুব ভাল কাজ করেছেন। এক মাসেরও বেশি সময় পুরো মাঠ চষে বেড়িয়েছি। সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি আচরণবিধি প্রতিপালনে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।একই সাথে যেই অভিযোগগুলো তাদের কাছে এসেছে, তারা যেটা সমাধান করতে পারেনি বা রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সেগুলো ইলেকটোরাপ ইনকোয়ারি কমিটিকে দিয়েছে, তারা কারও কারও হাজিরা চেয়েছে। কাউকে শোকজ করেছে, লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে এইভাবে তারা নিষ্পত্তি করেছে। কিছু আমাদের কাছে এসেছে, আমরা সেগুলোর ব্যবস্থা নিয়েছি।
এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসির চেষ্টার শেষ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার সহিংসতা খুব কম। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে দু-একটা ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন অন্যবারের চেয়েও কম। তারপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না।